ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাচার করা অর্থ ফেরাতে ‘আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ’ চায় এনবিআর

পাচার করা অর্থ ফেরাতে ‘আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ’ চায় এনবিআর

বিদেশে অর্থ পাচার ও পাচারকৃত সম্পদ থেকে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধারে করবিষয়ক অভিজ্ঞ ‘আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ’ নিয়োগ দিতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ও আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের জন্য ওই বিশেষজ্ঞ কাজ করবে। এমন অনুরোধ করে সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এনবিআর সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল শনিবার এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। সংস্থাটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আহরণ ও সকল প্রকার রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠন। রাজস্ব আহরণের অংশ হিসেবে গোপনকৃত আয় ও কর ফাঁকি উদ্ঘাটন এবং ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার করা আয়কর বিভাগের নিয়মিত কাজের একটি অংশ। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে যথেষ্ট পরিমাণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং এ কাজটি তারা সচরাচর সম্পন্ন করে থাকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এবং আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট এ দুটি বিশেষায়িত ইউনিট মূলত আয় ও সম্পদ গোপনের কারণে সংঘটিত রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটনে কাজ করে এরইমধ্যে বেশ সফলতা অর্জন করেছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, বিগত দেড় দশকের বেশি সময়ে দেশের সম্পদের একটি বিশাল অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বিদেশে পাচারকৃত এসব সম্পদের উপর কর ধার্য্য করা এবং তা আদায় করার বিষয়ে আয়কর বিভাগের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট পরিমাণে সমৃদ্ধ নয়। বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ থেকে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই ধরনের কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হলে ওই দুটি সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

যেহেতু উভয় সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরা বাংলাদেশি সেহেতু জন্মসূত্রে বাংলাদেশি কোনো বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হলে তা বিশেষভাবে সহায়ক হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে। এদিকে সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ৭ শতাংশ ট্যাক্স প্রদান সাপেক্ষে বিদেশে থাকা অর্থ বা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে ২০২২-২৩ অর্থবছর সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু ওই অর্থবছরের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি নাগরিক এ সুযোগ নেননি। ওই সময় পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত