বেসরকারি খাতের তিন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো— মেঘনা, এনআরবি ও এনআরবিসি ব্যাংক। এ সব ব্যাংকে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে থেকে পরিচালক এবং সাবেক ব্যাংকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ সব তথ্য জানিয়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের এ সব ব্যাংক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এ দফায় সরকারে আসার প্রথম মেয়াদে অনুমোদন পেয়েছিল। ২০১২ সালে একসঙ্গে অনুমোদন পাওয়া ৯ ব্যাংকের মধ্যে ছিল মেঘনা, এনআরবি ও এনআরবিসি ব্যাংক। এগুলোর উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা এবং বিদেশে ক্ষমতাসীন দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও অনুসারী প্রবাসীরা। পর্ষদ ভেঙে দেয়ার আগ পর্যন্ত মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান, মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান ছিলেন এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন পারভেজ তমাল। মেঘনা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার উজমা চৌধুরী, প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে (ক্যাসিওপিয়া ফ্যাশন লি. এর পক্ষে) তানভীর আহমেদ, স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. মামুনুল হক ও মো. রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম (বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত), প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আলি আকতার রিজভীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এনআরবি ব্যাংকের নতুন পর্ষদে পরিচালক হিসেবে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারধারক ইকবাল আহমেদ ওবিই, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শেখ মো. সেলিম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মতিউর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক শরীফ নূরুল আহকাম এবং চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মিজানুর রহমান স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। অন্যদিকে, এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হোসেন প্রধানিয়াকে। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বশর ও মো. আনোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. শফিকুর রহমান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।