বর্তমানে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ও নতুন গাড়ির ফি’র বৈষম্য রয়েছে। এটা জরুরিভিত্তিতে দূর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যাল্স ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
আমদানি করা গাড়িগুলো বিক্রির সময় ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ করার এই প্রথা বিলুপ্ত চাই সংগঠনটি। পাশাপাশি হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাস এবং মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় বারভিডা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বারভিডা সভাপতি আবদুল হক। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ রহমান, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ফরিদ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জলুল হোসেনসহ বারভিডার কেন্দ্রীয় নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা সভাপতি আবদুল হক বলেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে গ্র্যাজুয়েশন নির্ধারিত হবে।
দীর্ঘ দিনের অপশাসন থেকে মুক্তির পর আমরা যে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথে যাত্রা শুরু করেছি, তাতে একটি সমৃদ্ধ ও সম্মানজনক সমাজ কাঠামোয় গাড়ির বাজার সম্প্রসারণ হওয়া প্রয়োজন।
রিকন্ডিশন্ড গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি নতুন গাড়ির চেয়ে ২৭,৫০৮ থেকে ৫৩,৯৫৮ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের আমদানি করা গাড়িগুলো বিক্রির সময় ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ করতে হয়। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে আমদানি করা গাড়ির ‘দ্বৈত রেজিস্ট্রেশন’ দূর হলে রাজস্ব বাড়বে।
হাইব্রিড গাড়ি নিয়ে বারভিডা জানায়, আমরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ক্রমেই হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহারের দিকে যাচ্ছি, যেখানে মূল্যবান জ্বালানি সাশ্রয় হয়। হাইব্রিড প্রযুক্তির মোটরগাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিসিভিত্তিক যে শুল্ক-করের হার বিদ্যমান আছে, উৎপাদক এবং ব্যবহারকারী অন্য দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিসি স্ল্যাবের সংস্কার এবং পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।