ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শেষ মুহূর্তে জমজমাট দেশের ৩৬০০ পশুর হাট

শেষ মুহূর্তে জমজমাট দেশের ৩৬০০ পশুর হাট

রাত পোহালেই দেশে পালিত হবে পবিত্র ইদুল আজহা। আর ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ছোট-বড় তিন হাজার ৬০০ কোরবানির পশুর হাটে শেষ মুহূর্তের বেচাবিক্রি জমে উঠেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পাইকার ও খামারিরা রাজধানীসহ সারাদেশে অস্থায়ী হাটে কোরবানির পশু আনছেন। গ্রাম-গঞ্জেও জমজমাট বেচাকেনা। এবার ১ লাখ কোটি টাকার কোরবানির পশু বাণিজ্যের প্রত্যাশা খামারি ও প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের।

রাজধানীর গাবতলী হাট ও তেজগাঁও হাটসহ দেশের বেশকিছু বড় হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরোদমে চলছে বিকিনিকি। শুক্রবার (০৬ জুন) জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত যা অব্যাহত ছিল। জুমার পর ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা বেপারীদের।

জুমার আগে সরেজমিনে হাটগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা উপস্থিতিও ভালোই। হাটগুলোতে যেসব ব্যাপারী ও খামারিরা এসেছেন, তারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ ব্যস্ত গবাদিপশুর যত্ন-আত্তি নিয়ে। আর কেউ ব্যস্ত দাম-দর নিয়ে।

ব্যবসায়ী আব্দুল মাজেদ বলেন, ৩০ তারিখ থেকে তেজগাঁও হাট করছি। আমার ছোট গরু যেগুলো ছিলো, সেগুলো সবই বিক্রি হয়েছে। দামও ভালো পেয়েছি। কিন্তু ২টা বড় গরু এখনো আছে। আশা করছি, রাত পোহানোর আগেই বিক্রি করতে পারব।

তেজগাঁও পশু হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির ঢাকা মেইলকে বলেন, হাটে বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ভালোই আছে।

শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, জেলা, উপজেলার হাটগুলোও জমে উঠতে শুরু করেছে।

জমে উঠেছে রাজশাহীর সিটি পশুর হাট। শেষ মুহূর্তের হাঁক-ডাকে জমজমাট ছিলো হাট প্রাঙ্গণ।

রাজশাহীর পশু ব্যাপারী আইনাল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, রাজশাহী সিটি হাট ও দামকুড়া হাট, উভয় হাটেই আমি পশু নিয়ে যাচ্ছি। গত কয়েকদিন তেমন বেচাবিক্রি হয়নি। তবে এখন কিছু বেচাবিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, শেষ সময়ে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। কিন্তু বড় গরুর দাম তুলনামূলক কম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটগুলোতে মধ্যরাত পর্যন্ত বেচাবিক্রি হবে। শেষ মুহূর্তে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেউই খালি হাতে ফেরত যাবে না। কম-বেশি করে সব পশুই বিক্রির প্রত্যাশা তাদের।

এদিকে, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এবার কোরবানিতে পশুর অর্থনীতি প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। সারাদেশে কোরবানির জন্য প্রস্তত রয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। এরমধ্যে কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজারের মতো পশু। যেখানে ২০ লাখের মতো পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যা আগামী বছর কোরবানির বাজারে আসবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান বলেন, কোরবানির ছয় মাস আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। এরমধ্যে আমরা ৮২ হাজার খামারিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ১৫ হাজার ৩৭৫ নিয়মিত এবং ২১ হাজার মৌসুমি কসাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

সারাদেশের প্রতিটি হাটেই আমাদের ভেটেরিনারি টিম থাকছে। এবারের কুরবানির পশু ব্যবস্থাপনা বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভালো হচ্ছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবার সহযোগিতায় এবার সুন্দর একটি উৎসব আয়োজন হবে বলেই প্রত্যাশা তার।

পশুর হাট,জমজমাট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত