বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতে দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৮১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে জি-টু-জি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই গম কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৮(১) ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) মোতাবেক জি টু জি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এ অনুমোদনের পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের হুইট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৮১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয়ে দুই লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম পড়বে ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম কেনার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৩০ জুন বাণিজ্য সচিবের পক্ষ থেকে খাদ্য সচিব বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বিদ্যমান ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে আমদানির ওপর আরও ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অধিক পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এদিকে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটু ডাইভার্সিফাই করতে চাচ্ছি। অনেক সময় রাশিয়ান ব্লক কিংবা ইউক্রেন ব্লকে একটা অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন আমাদের আমদানি বাড়ানোর নেগোশিয়েশন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান ভালো।