
পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় ‘প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক এবং সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর (এসটিএস)-কুয়ে গ্যান্টি ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন’ কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে চার প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে ৩টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এইচপি ও এনজে চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজের জন্য ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স, এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘এক্সপান্ডেড ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট’ এর আওতায় প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৭ প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। ৫টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডব্লিএম, দেব কন এবং জিকেডব্লিউ-কে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।