দেশের নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর সপ্তম নারী ফুটবল লিগ মাঠে গড়াচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে। ম্যাচগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে এবার বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলানোর অনুমতি দিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। মূলত লিগের প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবারের আসরে প্রতিটি দল সর্বোচ্চ দুইজন বিদেশি ফুটবলার দলে নিতে পারবে এবং আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী এশিয়ান কাপের আগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আরও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। গত মে মাসে শেষ হওয়া ষষ্ঠ আসরে মাত্র তিনটি শীর্ষ দল নাসরিন স্পোর্টিং ক্লাব, আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব (এআরবিসিএসসি) এবং বাংলাদেশ আর্মি এফসি এক অন্যের সঙ্গে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছিল। সীমিত প্রতিযোগিতার সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আরও বিস্তৃত আকারে আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে।
বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, এবার মোট ১৩টি ক্লাব লিগে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গত আসরের নয়টি ক্লাবের মধ্যে সাতটি ক্লাব (এআরবিসিএসসি বাদে) এরইমধ্যে ক্লাব লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। এর সঙ্গে নতুন ছয়টি ক্লাব বাংলাদেশ আনসার, বাংলাদেশ পুলিশ এফসি, বিকেএসপি, রাজশাহী স্টারসহ আরও কয়েকটি অংশগ্রহণের আবেদন জানিয়েছে।
কিরণ বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১৩টি ক্লাব লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স বডি এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং শনিবার লাইসেন্স প্রদান করা হবে। সব ক্লাব শর্ত পূরণ করলে ১৩ দল নিয়েই লিগ আয়োজন করা সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘লাইসেন্স প্রক্রিয়া শেষ হলে এই মাসেই ট্রান্সফার উইন্ডো খুলে দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং জাতীয় দলের মেয়েদের আরও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ দিতে প্রতিটি দলকে দুই বিদেশি খেলোয়াড় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে’। প্রাথমিকভাবে লিগটি সিঙ্গেল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে আয়োজনের পরিকল্পনা আছে, তবে স্পন্সর পাওয়া গেলে তা ডাবল লেগ ফরম্যাটে রূপান্তর করা হতে পারে বলেও জানান কিরণ। লিগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হতে পারে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম বা জাতীয় স্টেডিয়ামে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন বাফুফে কর্মকর্তারা।
