আগের দিন আদালতে ছোটাছুটি করেছেন প্রতিকার পাওয়ার আশায়। কিন্তু সেখানে সুফল মেলেনি। এবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ছুটোছুটি করতে দেখা গেল এনামুল হক বিজয়কে। হাতে একটি সাদা খাম। কখনও তিনি যাচ্ছিলেন বিসিবির বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল অফিসে, কখনও মূল বিসিবি অফিসে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় এভাবে এই অফিস থেকে ওই অফিস করতে দেখা গেল জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে। বিপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া ৯ ক্রিকেটারের একজন এনামুল। তিনি ও তারা চেষ্টা করেছিলেন আদালতের মাধ্যমে কিছু করতে।
গত রোববার বিপিএলের নিলাম শুরুর আগে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবং তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তিনটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। রিটকারীদের পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল (সিনিয়র অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশ) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষে ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান (অ্যাডভোকেট, আপিল বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশ)-এর বক্তব্য শোনা হয়। পরে আদেশে বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাযী এবং বিচারপতি রাযিউদ্দিন আহমেদণ্ডএর ডিভিশন বেঞ্চ রিট পিটিশনগুলো সারসংক্ষেপে খারিজ করে দেন। রিট খারিজের পর এনামুল স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। সকাল থেকে বিসিবিতে ছুটোছুটির পর তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘কেউ নেই। কারও সঙ্গে কথা হয়নি।’ তবে আইনি লড়াইয়ে তিনি অবিচল থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর একটি আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন ৩৩ ছুঁইছুঁই ব্যাটসম্যান। ‘বিসিবিতে আমি একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সভাপতি বরাবর এবং উপদেষ্টা বরাবর। সেই চিঠি পৌঁছে দিতেই আসলে গতকাল সোমবার আসে বিসিবিতে। বিসিবি চিঠিটি গ্রহণ করেছে। পরবর্তীতে যে কথোপকথন হবে, তা সংবাদ সম্মেলনে আমার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে। আমি অবশ্যই পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব অবশ্যই সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাব।’
