অনলাইন সংস্করণ
১৮:০৩, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ ও উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর, বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিমন সরকারের নেতৃত্বে মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৪ এর আওতাধীন গুলশান সংলগ্ন কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালীন তিতাস গ্যাসের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ পারভেজ উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন এবং জরুরি দিক নির্দেশনা প্রদানসহ জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান।
অভিযানকালে দেখা যায়, কড়াইল বস্তিতে বসবাসরত অসাধু লোকজন পুকুরের পানির নীচ দিয়ে এবং ম্যানহোলের ভিতর দিয়ে জিআই পাইপ, কয়েল পাইপ ও প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, রোড-৩৪, গুলশান-২ এর গ্রাহকের সার্ভিস লাইন থেকে ১০০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়। রোড-৩৩, গুলশান-২ থেকে ২০০ ফুট, রোড-৩২ থেকে ৭০ ফুট এবং রোড-২৩/সি থেকে ১৩০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া Gulsan Lake View হোটেলের মিটার বিহীন আবাসিক রাইজার থেকে ২৫ ঘনফুট স্টার বার্ণার ২টি এবং ২টি ২১ ঘনফুট মডিফাইড ডাবল চুলা সহ মোট ৯২ ঘনফুট বাণিজ্যিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ৬০,০০০ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করেন এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানকালে ১টি রেগুলেটর এবং আনুমানিক ৫০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া গাওসুল আজম মসজিদ ও পুলিশ বক্স সংলগ্ন সার্ভিস লাইন থেকে কড়াইল বস্তিতে অবৈধভাবে ব্যবহৃত আনুমানিক ১৫০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস জানিয়েছে, তারা অবৈধ ব্যবহার ও সংযোগ শনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবে এবং গ্রাহকদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করবে।