ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর

ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাড়িটির দ্বিতল ভবন ভাঙা শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজার থেকে মিছিল বের করেন ছাত্রজনতা। মিছিলটি বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে কাদেরের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার দোতলা ভবন হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে ভাঙা হয়। এরপর তার ছোট ভাই শাহাদাত মির্জার ভবনও ভাঙচুর করা হয়। এর আগে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ওই বাড়ির পাঁচটি বসতঘর ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা এমরান হোসেন জানান, ৫ আগস্টের পর কিছুদিন কাদের মির্জা ভবনটি পুনরায় সংস্কার করেন। তবে দ্বিতীয় দফায় কাদেরের বাড়িতে এ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় তাদের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কাদেরের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'ছাত্র-জনতা ও কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য মানুষ ওবায়দুল কাদের, তার ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও তার বাহিনীর লোকদের দ্বারা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব কারণে তাদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা-ভাঙচুর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হামলা-ভাঙচুরে সর্বস্তরের ছাত্র জনতা অংশগ্রহণ করেছে।' তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও যদি কোনো সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ফ্যাসিবাদী আচরণ করে, তাহলে তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত