বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র সাগর আহমেদের মরদেহ উত্তোলনে আদালতের নির্দেশ থাকলেও পরিবারের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (৭ মে) সকাল ১১টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার টাকাপোড়া গ্রামে মরদেহ উত্তোলনে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসানুল হক শিপনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। তবে ওই সময় সাগরের বাবা তোফাজ্জল হোসেন ও মামলার বাদী সাগরের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানান।
পরিবারের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দল কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন সাগর আহমেদ। পরদিন তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। দীর্ঘ নয় মাস পর চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সাগরের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম ঢাকার আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে আদালত সাগরের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন, যা বাস্তবায়নে এদিন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাঠে নামে। তবে পরিবারের সম্মতি না থাকায় সেই উদ্যোগ স্থগিত থাকে।