কক্সবাজারের রামুতে ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের গরু আটক করার অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি, সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ গরু-মহিষ আটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই। অথচ সরকারি ইজারাকৃত বাজার থেকে ক্রয়কৃত বৈধ গরু প্রতিনিয়ত আটক করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রান্তিক খামারি ও ব্যবসায়ী মহলে চরম উদ্বেগ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিজিবির গরু আটৃকের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত স্থায়ী পশুর হাট রামুর চাকমারকুল বাজার থেকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে রশিদসহ ১৮টি গরু ক্রয় করে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিলেন। পথিমধ্যে রশিদনগর পৌঁছালে ৩০ বিজিবির সদস্যরা গরুবোঝাই গাড়িটি আটকে দেন। বৈধ কাগজপত্র দেখালেও বিজিবি সদস্যরা কোনো কথা শুনতে চাননি এবং গরুগুলো ক্যাম্পে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় ন্যায়বিচারের আশায় ব্যবসায়ী আবুল বাশার আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিবিধ মামলা নং ১/২০২৫ এর মাধ্যমে গরুগুলো নিজের জিম্মায় পাওয়ার আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত রামু থানার অফিসার ইনচার্জকে আগামী ৭ মে’র মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
রামুর ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্রয়ের যথাযথ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিজিবি বৈধ গরু আটক করছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে বাধ্য হবেন। মূলধন হারিয়ে অনেকে পশু ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।
চাকমারকুল বাজারের ইজারাদার জাবেদ ইকবাল জানান, রামুর চাকমারকুল বাজার জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত একটি স্থায়ী পশুর হাট, যেখানে সপ্তাহে সাত দিনই পশু কেনা-বেচা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিজিবির গরু আটক প্রান্তিক খামারি ও ব্যবসায়ীদের চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করছে। এ বিষয়ে রামুর খামারি ও ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, আদালতের একটি আদেশনামা পেয়েছেন। তিনি আদেশনামাটি পর্যালোচনা করে বিজিবির সঙ্গে কথা বলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন বলে জানান।