পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত অবস্থা ভয়াবহ রকমের নাজুক হয়ে পড়েছে। ছয় বছর ধরে কোনো ধরনের রং কিংবা সংস্কার কাজ না হওয়ায় হাসপাতাল ভবনের ছাদ থেকে নিয়মিতভাবে পলেস্তরা খসে পড়ে রোগী ও স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রং ও রিপেয়ারের কাজ করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময়েও কোনো সংস্কার হয়নি। পুরনো ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে, আর সেখান থেকেই মাঝেমধ্যে পলেস্তরা ভেঙে পড়ে রোগীদের শরীরে ও বিছানায়। তবে এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নার্স বা স্টাফদের মাঝে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন জানান, “আমার বাবাকে গতকাল ভর্তি করেছিলাম। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ে তাঁর শরীর ও বিছানায় পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা পড়ে থাকলেও হাসপাতালের কেউ তা পরিষ্কার করেনি। বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই পরিষ্কার করি।” এমন ঘটনার কথা অন্যান্য রোগীরাও নিশ্চিত করেছেন।
জনস্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু একটি হাসপাতালের এমন বেহাল অবস্থা জনমনে হতাশা ও উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোছা. নাজনীন আফরোজ বলেন, “করোনার সময় সর্বশেষ কিছুটা সংস্কার কাজ হয়েছিল। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো রং বা রিপেয়ারিং হয়নি।”
সম্প্রতি যোগদানকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলী আহসান বলেন, “আমি চার মাস আগে যোগ দিয়েছি। আমার অফিস রুমের ছাদের অবস্থাও ভয়াবহ—মাঝেমধ্যে পলেস্তরা খসে পড়ে। রোগীদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার প্রয়োজন।”