বাজারে বিগত কয়েক বছর ধরে কোরবানি ঈদে চামড়ার দাম নিয়ে কারসাজি চলে আসছে। চামড়ার দাম নিয়ে কারসাজি রুখতে কিছু উদ্যোগের কথাও জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। এতে অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েছেন চামড়া খাত সংশ্লিষ্ট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
এবার সরকার ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম এক হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২ থেকে ২৭ টাকা ও বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তবে বাস্তবে এর তেমন কোনো প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষ করে গরুর কাঁচা চামড়া আগের মতোই কম দামে বিক্রি হয়েছে। আর অন্যান্য বছরের মতো এবারও ছাগলের চামড়া কিনতে আগ্রহ দেখাননি অধিকাংশ আড়তদাররা।
জানা যায়, সরকার এ বছর কাঁচা চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় বেশি নির্ধারণ করেছে। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সারাদেশে খাসির চামড়া ২২-২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গত বছর ছিল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া সারাদেশে বকরির চামড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০-২২ টাকা; যা গত বছর ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা।
রাজধানীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরুর কাঁচা চামড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। ছোট চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত বছরও দাম ছিল প্রায় একই রকম। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র পাঁচ থেকে ১০ টাকায়।
আড়তদাররা বলছেন, একটি চামড়ার প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন ও আড়তের খরচ মিলে প্রায় ৫০০ টাকা পড়ে। সেই সঙ্গে ট্যানারি মালিকেরা ২০ শতাংশ বাদ দেন, ফলে অধিক দামে চামড়া কেনা সম্ভব হয় না।
এদিকে, চামড়ার দামে খুশি নন কোরবানিদাতারাও। রাজধানীর গেন্ডারিয়ার বাহাউদ্দিন জানান, তাদের আড়াই লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম ৬০০ টাকা বলেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পরে তারা পাশের মাদরাসায় পুরো চামড়াটি দান করে দেন।
আবা/এসআর/২৫
