ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৭৫

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৭৫

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল আজহা পালিত হয় ৬ জুন। এর পরের দিন অর্থাৎ ৭ জুন গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ৭৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০০ জন।

রোববার (৮ জুন) গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য এবং এই ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন শিশুও রয়েছে। এই পরিবারটি বসবাস করত গাজার প্রধান ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটির সাবরা এলাকায়।

ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আল জাজিরাকে বলেন, বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। তিনি আরও জানান, শনিবারের হামলায় অন্তত ৮৫ জন ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।

গাজা সিটির বাসিন্দা হামেদ কেহিল আল জাজিরাকে বলেন, “অন্যান্য বছর এ সময় আমরা সকাল সকাল উঠে নিজেদের এবং বাচ্চাদের নতুন পোশাকে সাজিয়ে বন্ধু-আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। আর এবার আমরা আমাদের শিশু ও স্বজনদের লাশ বহন করছি। গতকাল ভোররাতে আমাদের ঘুম ভেঙেছে হামলা, ধ্বংস আর আর্তনাদের শব্দে।”

গাজা সিটির অপর বাসিন্দা হাসান আলখোর আল জাজিরাকে বলেন, গত প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যা যা করেছে, সেজন্য যেন নেতানিয়াহু (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী)-কে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের অভিযানের লক্ষ্য ছিল আসাদ আবু শারিয়া নামের এক হামাস নেতাকে নিধন করা। আসাদ আবু শারিয়া হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের অন্তর্ভুক্ত মুজাহিদিন ব্রিগেডের প্রধান ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল হামাস, তাতে অংশ নিয়েছিলেন।

এর আগে ঈদের দিন, অর্থাৎ ৬ জুনও দিনভর গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং তাতে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছিলেন।

আবা/এসআর/২

ঈদ,গাজা,হামলা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত