সংসারে উপার্জনক্ষম এক মাত্র ব্যক্তি দিনমজুরি স্বামী। দিনভর পরিশ্রম করে সবার পেটের ভাত জোটাতেন। কিন্তু তিনিই এখন ছয় মাস ধরে অসুস্থ। রোগাক্রান্ত হয়ে ঘরেই কাটছে তার দিন-রাত। এখন আর যেতে পারেন না কাজে, তাই প্রায় দিনই কাটে আধ পেটে। টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা।
তিনি নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের আশ্রয়ণের বাসিন্দা আবেদা খাতুন।
স্বামীর ভিটে বাড়ি কিছুই নেই। দুই বছর আগে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে উঠেন। সেখানেই বসবাস, সংসারে অভাব চিরসঙ্গী। গত ছয় মাস আগে স্বামী তোতা মিয়ার মুখের ভিতরে ঘা হয়েছে, এমনটা ভেবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করেননি। বর্তমানে সেই রোগ জটিল হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ময়মনসিংহে ডাক্তার দেখালে টিউমার হয়েছে বলে জানা যায়, যা অপারেশন ও সঠিক চিকিৎসা না পেলে ক্যান্সারে রূপ নেবে।
এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী আবেদা খাতুন। একদিকে রোগাক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসা, অপরদিকে সন্তানদের জন্য খাবার জোগানো। সবকিছু মিলিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি খুব কষ্টে আছি। আমার স্বামী সুস্থ হলে আমার কষ্ট থাকবে না। আমার স্বামীকে বাঁচাতে চাই।
অভাবের সংসারে যেখানে ঠিক মত দুবেলা খাবার জুটাতেই হিমশিম খেতে হয়, সেখানে স্বামীর চিকিৎসা করে বেঁচে থাকা যেন দুঃসাধ্যের। তাই সরকারি সহযোগিতা ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ স্থানীয়দের।
আবেদা ও তোতা মিয়া দম্পত্তির সংসারে তিন মেয়ে সন্তানের একজন বাক এবং আরেকজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তাদের মধ্যে একজনের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়েছে আর তাতে যে টাকা আসে তাতে চাল কিনতেই ফুরিয়ে যায়। অসুস্থ স্বামী, পেটে ক্ষুধা আর সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন তার। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার মাধ্যমে তোতা মিয়া সুস্থ হয়ে উপার্জনে গেলে কষ্ট কমে আসবে এমনটাই আকাঙ্ক্ষা আবেদার।