অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করব। বর্তমানে চারদিকের পরিবেশ অনুকূলে নেই। তবু আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, যতটুকু পারি মুজাহিদদের কাফেলার মতো আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। পেছনে কে কি বলল আমরা তা পরোয়া করি না, আমরা কাজ করে যাব।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসা পরিদর্শন ও হজরত শাহচান্দ আউলিয়া মাজার জিয়ারতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমি অতি আধুনিকতার বিপক্ষে। কারণ মাদরাসায় আলেম-ওলামা, বুজুর্গ-মোহাদ্দেস ও মোফাচ্ছির তৈরি হয়। এসব যদি মাদরাসায় তৈরি না হয়, তাহলে মাদরাসা একসময় স্কুল-কলেজ হয়ে যাবে। মাদরাসাগুলো আছে বলেই আমাদের মাথায় টুপি আর মুখে দাড়ি আছে। আজান দিলে আমরা মসজিদে যাই। এই মাদরাসাগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আরবির ওপর জোর দিই। যে আরবি ও ইংরেজি জানবে সে তো ডলার হিসেবে বেতন নিতে পারবে। আমরা চাই, এসব মাদরাসা থেকে ভালো আলেম-ওলামা বের হয়ে আসুক। মাদরাসা আল্লাহ তায়ালার রহমতের মাধ্যমে এলাকা, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তন হয়ে যাবে। আলেমের মর্যাদা, কোরআন ও হাদিসের বাণী আমরা ছড়িয়ে দিচ্ছি। আমাদের যাতে ঐতিহ্য হারাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিজে ঘুষ খাই না, আমার সামনে অন্য কেউ যদি ঘুষ খায় তাহলে তাকে ধরে ফেলব। সে যে-ই হোক, তাকে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করে দেব। আমাদের মোরালিটি চা দোকানদার চা দিতে দেরি হচ্ছে তাকে মারা হয়, চাঁদা দিতে দেরি হচ্ছে তাকে পাথর দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, কেন। সরকার কি ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারবে। এত ওয়াজ-নসিহতের পরেও আমাদের নীতি-নৈতিকতার উন্নয়ন হচ্ছে না। আসুন, প্রথমে আমি ভালো হই, তারপর প্রিন্সিপাল, তারপর ইউএনও ভালো হবে। এরপর সামনে পেছনে যারা আছে তারাও ভালো হয়ে যাবে।’
শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন খালেদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক মোজাফফর আহমেদের সঞ্চালনায় মাদরাসা হলরুমে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া,পটিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান,ওসি মো. নুরুজ্জামানসহ পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ।