‘সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হলো, সমস্যা স্বীকার করা। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা নতুন কিছু নয়। সবাই জানে কী কী সমস্যা বিদ্যমান। এখন জরুরি হচ্ছে—আস্থা অর্জন, যাতে সবাই একসাথে কাজ করতে পারে।’
শনিবার রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউসে আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির বৈঠকে এসব কথা বলেন কমিটির আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রথম সভা। আমরা অনেক কিছু শিখেছি। কিছু ছোট ছোট বিষয় চিহ্নিত করতে পেরেছি যেগুলো দ্রুত ও সহজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
সভায় অংশ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন, ‘এই প্রথম এমন একটি বৈঠকে আন্তরিকতা ছিল। ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আশা করি এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘এই সভা পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে—যদি সবাই মিলে কাজ করে, তাহলে স্থায়ী শান্তি সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে কমিটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে সুপারিশ দেবে। প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করেও কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মঙ্গল চন্দ্র পাল এবং উপসচিব সামছুল হক।