নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের টানপাড়া এলাকায় গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধে চাচা ও ফুফাতো ভাইদের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার এক মাস পর মারা গেছেন সাব্বির (২৫) নামে এক বাসচালক।
নিহত সাব্বির ওই এলাকার আরজু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় বাস চালক ছিলেন এবং দুই সন্তানের জনক।
নিহতের স্বজনরা জানান, আম পাড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের একপর্যায়ে আপন চাচা শহিদুল্লাহ, ফুফাতো ভাই জহিরুল, এমরান, আকাশ, ইমন ও ফুফু পারভিন দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। এতে সাব্বিরের হাত-পা ভেঙে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন।
গত এক মাস ধরে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অর্থ সংকটে চিকিৎসা চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় শুক্রবার (২৫ জুলাই) তাকে বাড়িতে আনা হয়। ওই দিন বিকেলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে জানায়, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ গং এলাকাবাসীর একটি অংশকে ম্যানেজ করে লাশ দ্রুত দাফনের চেষ্টা করে এবং নিহতের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। তবে পুলিশ খবর পেয়ে জানাজা মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘ঘটনার পর একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। যেহেতু ভুক্তভোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন, তাই তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’