ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নকলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৩,১১১ হেক্টর, ব্যস্ত কৃষকরা

নকলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৩,১১১ হেক্টর, ব্যস্ত কৃষকরা

শেরপুরের নকলা উপজেলায় আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষিশ্রমিকরা। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলে আনছেন, কেউ জমিতে সেচ দিচ্ছেন, আবার কেউ চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। বিভিন্ন মাঠে চলছে পুরোদমে রোপণের কাজ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অর্জনকে ভিত্তি ধরে এবারের মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১১১ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের আওতায় রয়েছে ৭,১৩৫ হেক্টর, উফশী জাতের ৪,৭৬৩ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের আওতায় রয়েছে ১,২১৩ হেক্টর জমি।

এ মৌসুমে সম্ভাব্য চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০,৭৪৮ মেট্রিকটন। যার মধ্যে হাইব্রিড জাত থেকে ৩০,৬০৯ মেট্রিকটন, উফশী জাত থেকে ১৭,২৮৯ মেট্রিকটন এবং স্থানীয় জাত থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য ২,৮৪৮ মেট্রিকটন। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে উৎপাদন কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গনপদ্দী, নকলা, উরফা, গৌড়দ্বার, বানেশ্বরদী, পাঠাকাটা, চরঅষ্টধর ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় কৃষক ও কৃষিশ্রমিকরা জমিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

কৃষকরা জানান, আমন ধানের জন্য প্রাকৃতিক বৃষ্টির পানি সবচেয়ে উপযোগী। এতে সেচ খরচ কম হয় বলে কম খরচে বেশি লাভের আশা করেন তারা। তবে মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছুটা দেরিতে রোপণ শুরু হয়েছে। এখন নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রোপণের কাজ শেষ হবে বলে তারা আশা করছেন।

ভূরদী খন্দকার পাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. ছাইদুল হক, সদস্য মোখলেছুর রহমান, এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক—হেলাল, ঈসমাইল, খাদিমুল ইসলাম, কিতাব আলী, হালিম, শাহীন মিয়া, দেলোয়ার, ছাত্তার, আবুল, আমিন, মোস্তাফিজুর রহমান, রেজাউল করিম, মোশারফ হোসেন, মোক্তার আলী, মোকসেদ, রফিকুল, কামাল হোসেন, হাসান মিয়া, হারুন অর-রশিদ, হাসেম আলী, ইসলাম, নজরুল, আল মামুন, কায়দা গ্রামের কৃষাণী রাশিদা বেগমসহ অনেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাবাসসুম মকবুলা দিশা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জন হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাগর চন্দ্র দে জানান, উপজেলার উপযোগী সব জমিকে চাষের আওতায় আনতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। আরেক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারিহা ইয়াসমিন জানান, কৃষকদের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।

ব্যস্ত কৃষকরা,আমন আবাদ,নকলা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত