
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম সৌরভ, তার পরিবার ও নিরীহ এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে আইনজীবী পরিবারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সাইফুল ইসলাম সৌরভ জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিবেশী আইনজীবী ইসরাত জাহান সুপ্তা ও তার পিতা শহিদ উল্যা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এপিএস মতিনকে ব্যবহার করে একে একে ১৬টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। দায়েরকৃত ১৬টি মামলাই মনগড়া, যার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। তবুও প্রভাব খাঁটিয়ে বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মামলাগুলো দিয়ে আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক ভাবে ক্ষতি করেছে। তাদের মামলার হাত থেকে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, যুবক কেউ রেহাই পায়নি।
সাইফুল ইসলাম সৌরভ আরো জানান, অভিযুক্তরা সালিশ দরবার মানে না। কোন কিছু হলেই ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করে এবং উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। শুধু তাই নয়, স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেন সৌরভ। ইতিমধ্যে তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির বিষয়টি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।
এ অবস্থায় হয়রানি থেকে বাঁচতে ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত আইনজীবী ইসরাত জাহান সুপ্তা ও তার পিতা শহিদ উল্যা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা জানান, সৌরভের সাথে আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ আছে। মিথ্যা মামলা হলে আদালত সৌরভকে সাত বছর সাজা দিলো কিভাবে। আমরাও চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হোক।