
সরকারি দপ্তর ও কলকারখানায় প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা গেলেও সাধারণ জনগণের ওপর এ বিষয়ে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে নেসকোর আওতাধীন এলাকায় প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এক অবহিতকরণ সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভাটি আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও নেসকো (নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড)।
সভায় বলা হয়, প্রি-পেমেন্ট মিটার নিতে সাধারণ মানুষ বাধ্য নয়, তবে কেউ ইচ্ছা করলে মিটার নিতে পারবে।
এছাড়া নেসকোর ইঞ্জিনিয়ারদের মাঠে কাজ করতে হবে। যেহেতু বিলের সাথে জনগণ ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট ও মিটার ভাড়া প্রয়োগ করে সেহেতু বিদ্যুৎ সমস্য জনিত কারণে গ্রাহকের কারোর কাছ হতে অতিরিক্ত ফি নেয়া যাবে না। নেসকোর যেকোনো দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, কোন প্রকার অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অবৈধ সকল বিদ্যুৎ স্থাপনা জরুরি ভিত্তিতে বিচ্ছিন্ন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সকলের উপস্থিতিতে আলোচনা-সমালোচনা শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল এসব সিদ্ধান্ত জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে নেসকোর আওতাধীন এলাকার প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হাসিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রমিজ আলম, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট স্থাপন প্রকল্প রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনির হোসেন, নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (নেসকো) সাজ্জাদুর রহমানসহ নেসকোর কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ।
সভার শুরুতে প্রি-পেমেন্ট’র সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে প্রেজেন্টেশন, প্রেজেন্টেশনের পক্ষে-বিপক্ষে বিষদ আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।