ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লালমনিরহাটে আগাম জাতের সবজি চাষে সাফল্য

লালমনিরহাটে আগাম জাতের সবজি চাষে সাফল্য

লালমনিরহাটের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা আগাম জাতের সবজি চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। জেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের হাজার হাজার কৃষক আগাম সবজি চাষের মাধ্যমে ঘরে ঘরে স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছেন। রংবেরঙের সবজি চাষ যেন পুরো অঞ্চলে এক সবুজের সমারোহ সৃষ্টি করেছে।

প্রতিদিন এসব গ্রামের হাজার হাজার মন সবজি দেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কম সময়ে ভালো লাভ হওয়ায় কৃষকরা আগাম সবজি চাষে ব্যাপক উৎসাহিত। গ্রীষ্মকালীন সবজির পাশাপাশি আগাম সবজির ফসলের পরিচর্যায় তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জানা যায়, বছর জুড়েই এখানে নানা জাতের সবজি চাষ হয়ে থাকে। বর্তমানে কৃষকরা রকমারি সবজির চাষের মাধ্যমে নিজেদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে বাকি অংশ বাজারে বিক্রি করে স্বচ্ছলতা অর্জন করছেন, যা ধান চাষের তুলনায় বেশি লাভজনক।

প্রায় দুই যুগ আগে আদিতমারীর কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বড় কমলাবাড়ী, কুমড়িরহাটসহ কিছু গ্রামে সবজি চাষ শুরু হয়। ধীরে ধীরে এ চাষ বিস্তার লাভ করে।

কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন কৃষক আমিনুল, আব্দুর রহমান, হরিপদ রায়, অর্জুনসহ অনেকে জানান, তারা বাপ-দাদার আমল থেকেই সবজি চাষ করে আসছেন। এ অঞ্চলের প্রধান ফসল নানা জাতের সবজি। শিয়ালখাওয়া, চাঁপারহাট, ভোটমারী, দৈখাওয়া, সিঙ্গিমারী, কুমড়িরহাট, চন্দনপাট, বড়কমলাবাড়ী, হাজীগঞ্জ, চণ্ডীমারি, কর্ণপুর, দুড়াকুটি, ফুলগাছ, কোদালখাতা, ভাটিবাড়ী, কাকেয়া টেপা, বনগ্রাম, শিবেরকুটি অন্যতম সবজি খ্যাত গ্রাম।

সবজি চাষি সিরাজুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন ও লোকমান আলী জানান, আগাম জাতের সবজি চাষে খরচ বাদে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন। যদিও খরচ বেশি, তবু লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা উৎসাহী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে শিম, মুলা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি জমিতে লাগানো হয়েছে এবং তা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি বিভাগ নিয়মিত পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছে। প্রতিদিন সকালে এসব এলাকায় বিশাল পাইকারি বাজার বসে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ভরা মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে।

সবজি চাষি সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মোস্তাফিজার রহমান ও হযরত আলী জানান, গ্রামীণ অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া নিচু এলাকা হওয়ায় প্রায় প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতি হয়, যা ফসলের জন্য সমস্যা তৈরি করে।

লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব জানান, আমরা কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে থাকি যাতে তারা বেশি লাভবান হতে পারেন।

সবজি চাষে সাফল্য,আগাম জাত,লালমনিরহাট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত