
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইনের আঘাতে আহত হাতিকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাতির হামলায় আহত দুই চিকিৎসককে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ঢাকায় নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. নূরুল ইসলাম।
আহত চিকিৎসকরা হলেন—ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ জুলকারনাইন এবং গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা আলী নেওয়াজ জানান, পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি বন রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হাতিটি রামু উপজেলার দারিয়ারদীঘি সংরক্ষিত বনে রয়েছে—এমন খবরে শুক্রবার বন বিভাগের ১৫ সদস্যের একটি দল সেখানে যায়। এ সময় পেছন থেকে হঠাৎ আক্রমণ চালায় হাতিটি। এতে দুই চিকিৎসকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। হাতিটির আক্রমণে একটি বন্দুক বনের ভেতর হারিয়ে যায়, পরে খোঁজাখুঁজির পর তা উদ্ধার করা হয়।
বনকর্মীরা জানান, বিস্ফোরণে হাতির সামনের ডান পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে, পায়ের নখও উড়ে গেছে। ফলে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে হাতিটিকে। ক্ষত নিয়ে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে কষ্ট পাচ্ছে সে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তক্ষরণ ও পানিশূন্যতায় হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর দীর্ঘমেয়াদে নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন।
নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকার জানান, ‘নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমার অংশে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে হাতিটি আহত হয়। আহত অবস্থায় গত রোববার রাতে এটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি ও আশারতলির মাঝামাঝি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।’
গত রোববারই হাতিটি মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়।