
নওগাঁ শহরের বাইপাস চকপাথুরিয়া এলাকায় নতুন একটি পাইকারি মাছের আড়তের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৭টা থেকে ‘বড় বাজার মৎস্য আড়ৎ সমিতি’ নামে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান বেগ। বক্তব্য দেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. বায়েজিদ আলম, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিছুর রহমানসহ অনেকে। এসময় মাছ চাষি, ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহরের পৌর মাছের আড়তটি ছিল কেন্দ্রস্থলে। এর পাশেই সবজি, মুরগি, ডিম, গুড়, চাল ও মুদি বাজার থাকায় জায়গা ছোট হয়ে পড়ে। সরু সড়কের কারণে মাছবাহী গাড়ি চলাচলও ব্যাহত হতো। সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে আড়ত বসলেও যানজটে পড়ে অনেক সময় সকাল ১০টার পর মাছ পৌঁছাত। এতে মাছ চাষিরা ভালো দাম থেকে বঞ্চিত হতেন এবং বিকল্প হিসেবে অনেকেই বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে মাছ বিক্রি করতে নিয়ে যেতেন।
মাছ চাষিরা জানান, নতুন আড়তে সহজ যোগাযোগব্যবস্থা রয়েছে। যানজট না থাকায় মাছবাহী গাড়ি সরাসরি আড়তে ঢুকতে পারছে। এতে সময় ও খরচ কমছে, মাছ হারিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা নেই। ফলে চাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।
নওগাঁ পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান বেগ বলেন, নতুন আড়তে ২৫টি পাইকারি দোকান চালু হয়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মাছের বেচাকেনা চলবে। এখানে মাছ চাষিদের আলাদা করে পানি বা গাড়িভাড়া দিতে হবে না। থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ আড়তে ৪৩ কেজিতে এক মণ মাছ ধরা হবে এবং সর্বনিম্ন ৫ কেজি পর্যন্ত ক্রেতারা কিনতে পারবেন।
আগামীতে বাইপাস এলাকায় নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় ও নওগাঁ মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে আশপাশে কয়েকটি মাদরাসা, কারিগরি কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় এ নতুন আড়তকে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখা হচ্ছে।