
লালমনিরহাটে গবাদি পশু পালনকারী কৃষকদের মধ্যে বর্তমানে সংরক্ষিত গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলার বিভিন্ন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গবাদি পশু পালনে পর্যাপ্ত গো-খাদ্য মজুদ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এবারের বন্যায় খড় পচে যাওয়ায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে খড় সংগ্রহ করতে হচ্ছে কৃষকদের, তবে তা কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হলে এ সংকট কেটে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে বড় খামারিরা গরুর জন্য সবুজ ঘাস চাষ করলেও ক্ষুদ্র খামারিরা মূলত শুকনো খড়ের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু এবারের বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে বহু কৃষকের খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
চর খাটামারী গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি আলী বলেন, গরুর জন্য যে খড় রাখা হয়েছিল, তা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। একটি গরুর একদিনের খড় কিনতে ৬০–৭০ টাকা খরচ হয়।
এক খড় ব্যবসায়ী জানান, এ সময়ে খড়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করছি। একটি আঁটি ৮ টাকায় কিনে ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করছি।
ফুলগাছ গ্রামের নুরজামাল জানান, মাঠে ধানক্ষেত থাকায় গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া ধানের গুঁড়া, ভুষি ও ভুট্টার গুঁড়ার দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ফলে ক্ষুদ্র খামারিদের এখন শুকনো খড়ই একমাত্র ভরসা। তবে বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে শুকনো খড়েরও সংকট দেখা দিয়েছে।