ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আমন ধানের চারার যত্নে ব্যস্ত শেরপুরের কৃষক

আমন ধানের চারার যত্নে ব্যস্ত শেরপুরের কৃষক

আমন হচ্ছে ধান উৎপাদনের একটি মৌসুম। ধান উৎপাদনের তিনটি মৌসুমের মাঝে এটি একটি, আমন ধানকে হেমন্ত ঋতুর ধান বলা হয়। এটা রোপণের সময় হচ্ছে জুন-জুলাই মাস এবং কাটার সময় হচ্ছে অক্টোবর-নভেম্বর মাস। বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলা, এ জেলায় মানুষ কৃষিতেই নির্ভরশীল। বুক ভরা আশা নিয়ে শেরপুর জেলার কৃষকেরা যত্নে মেতে উঠেছেন আমন ধানের। ধানের চারায় যেন কোন প্রকার ক্ষতি না হয় তার জন্য সব কৃষকেরা যার যার মত করে ধানের চারার যত্ন নিতে ব্যস্ত।

শেরপুরে কৃষক মোঃইয়াদ আলীর কাছ থেকে জানা যায় ধানের চারায় যেন মাজরা পোকা ও পাতা মুড়ানো পোকায় কোন ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য এখন ক্ষেতে বিভিন্ন কোম্পানির বিষ দেওয়া হচ্ছে। বিষ ছিটানোর কাজে যে নিয়োজিত থাকে তাকে প্রতি কাঠায় ২০ টাকা করে দিতে হয়।

কৃষক ইয়াদ বলেন, বিভিন্ন জাতের ধান কৃষক লাগিয়ে থাকে তার মাঝে আমাদের এদিকে স্বর্ণ গুটি ধান আর বি আর এগারো ধান বেশি লাগিয়েছে কৃষকেরা। কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ এ দেশের কৃষকের আনন্দে আনন্দিত হয় দেশ।

শেরপুর জেলার ৫টি থানায় ৫২টি ইউনিয়নে মোট ৯৩৭২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন বলে জানিয়েছে শেরপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা।

জানা যায় শেরপুর সদর উপজেলায় ২৪৭৩০ হেক্টর জমিতে, নকলা উপজেলায় ১৩১১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেন নকলার কৃষকরা। নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২৩২৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেন নালিতাবাড়ীক কৃষকেরা। ভারতের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের চিন্তায় থাকে এ উপজেলার কৃষকেরা। ঝিনাইগাতি উপজেলায় ১৪৬৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেন ঝিনাইগাতির কৃষকেরা। এ উপজেলার মানুষ পাহাড়ি এলাকার মানুষ হিসেবে পরিচিত তার কারণ এখানে গজনী পাহাড় অবস্থিত। শ্রীবরর্দী উপজেলায় ১৭৯৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেন কৃষকেরা।

শেরপুর সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মুসলিমা খানম নিলুর বলেন, 'কৃষি অধিদপ্তরের প্রণোদনা আমরা কৃষকদের মাঝে ধান বীজ ও সার বিতরণ করেছি যা দিয়ে শেরপুরের কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করেছে এবং আমরা আশা করছি এবারের আমন ধানে কৃষকেরা ভাল ফসল পাবে ইনশাআল্লাহ।'

কৃষক,শেরপুর,আমন ধানের চারা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত