ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নকলায় অনাবাদি পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছে কৃষক

নকলায় অনাবাদি পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছে কৃষক

নামমাত্র শ্রম ও সামান্য খরচে বস্তায় আদা চাষ করে কয়েকগুণ বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে। পতিত জমিতে যেখানে অন্য ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য, সেখানে বস্তায় আদা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে শেরপুরের নকলায় অনাবাদি জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় কৃষকরা বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন।

আগে যে জায়গায় ঘাস-আগাছা জন্মাত বা ফেলে রাখা হতো, এখন সেখানে সাজানো সারি সারি বস্তায় চাষ হচ্ছে আদা। আবাদি জমিতে মাটিবাহিত রোগের কারণে আশানুরূপ ফলন না হলেও বস্তায় চাষে সেই ঝুঁকি কম, ফলনও বেশি। এ কারণে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ পদ্ধতি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২১টি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ২০টি এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় একটি প্রদর্শনী রয়েছে।

এ ছাড়া কৃষকরা নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় ২২ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে উপজেলায় আনুষ্ঠানিক হিসেবে ৬৬ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হলেও সরেজমিনে দেখা গেছে, বাস্তবে তা ৭০ থেকে ৮০ হেক্টর পর্যন্ত বিস্তৃত।

চাষিদের মতে, বস্তায় আদা চাষে ক্ষতির ঝুঁকি কম থাকে, রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা কম এবং ফলনও দ্বিগুণ হয়। তাই এ পদ্ধতির প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে।

স্থানীয় কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আলহাজ্জ মো. ছায়েদুল হক জানান, পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার পাশাপাশি এ কাজে যুক্ত হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালীন মেহেদী বলেন, আদা একটি লাভজনক ফসল, বিশেষ করে বস্তায় আদা চাষ আরও বেশি লাভজনক। এতে অব্যবহৃত জমি কাজে লাগছে, আবার কৃষকরা বাড়তি আয় করছেন। প্রতি বস্তায় দেড় থেকে ২ কেজি আদা উৎপাদন হয়, আদা তোলার পর একই বস্তায় স্বল্পকালীন সবজি চাষ করেও আয় করা যায়।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে এই পদ্ধতিতে আদা চাষ আরও বিস্তৃত হবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।

ঝুঁকছে কৃষক,আদা চাষে,অনাবাদি পতিত জমি,নকলা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত