
নীলফামারী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বড় মাঠ একসময় অবহেলা, অপরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তাহীনতায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে মাঠটিকে ঘিরে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও পৌর প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম যৌথভাবে মাঠের উন্নয়নে এগিয়ে আসেন। তাদের সমন্বিত উদ্যোগে মাঠটি এখন পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং নিরাপদ এক নাগরিক বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই মাঠ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘শুধু অবকাঠামো নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ। জুলাইয়ের আন্দোলন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, মানুষ পরিবর্তন চায়—আমরাও সেই পরিবর্তনের সঙ্গী হতে চাই।’
বর্তমানে মাঠজুড়ে সবুজ গাছপালা, বসার বেঞ্চ, হাঁটার পথ ও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে শিশুদের খেলাধুলা, প্রবীণদের হাঁটা এবং পরিবারগুলোর জমায়েতে মুখর থাকে মাঠটি।
সম্প্রতি মাঠ পরিদর্শন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এই বড়ো মাঠ এখন আর শুধু একটি খেলার জায়গা নয়, এটি নাগরিক অধিকার, পরিবেশ এবং সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।’
স্থানীয়রা জানান, আগে যেখানে সন্ধ্যার পর মাঠে যাওয়া ছিল অনিরাপদ, এখন সেখানে পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে সময় কাটানো যায়।
এই রূপান্তর নিঃসন্দেহে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সচেতন নাগরিকরা আশা করছেন, বড়ো মাঠের এই সাফল্য নীলফামারী পৌরসভার অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়বে।