
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিস্ফোরণ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোলের দোকান। কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার সহ দাহ্য পদার্থ। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে হোসেনপুর বাজার সহ গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে দেখা গেছে ছোট বড় রাস্তার পাশে, মুদির দোকান, পানের দোকানে, কসমেটিকসের দোকানে, হার্ডওয়্যার ফার্নিচারের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ও বিপজ্জনক পেট্রোল। এইসব গ্যাস সিলিন্ডারগুলো বেশিরভাগ মেয়াদ উত্তীর্ণ ও পুরাতন মরীচিকা যুক্ত।
সূত্রমতে, বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪ এর দায় এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪ এর ৬৯ ধারায় ২ বিধিতে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি মজুত রাখা যাবে না বলা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী আটটি গ্যাস পূর্ণ সিলিন্ডার এর ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে।
একই বিধির ৭১ নং ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য স্থাপনার বহু দূরে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে। এই আইন অমান্য করলে যে কোনো ব্যবসায়ী ন্যূনতম দুই বছর ও অনাধিক তিন বছরের জেলসহ অনধিক ৫০ হাজার টাকা দণ্ডিত হবেন এবং থাকলে অতিরিক্ত আরো ছয় মাস পর্যন্ত কারাগারের বিধান রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোসেনপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল বিক্রি করতে যে বিস্ফোরক অধিদপ্তর লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয় এবং জেল-জরিমানা রয়েছে এ বিষয়ে তার জানা ছিল না।
স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ভাষ্যমতে, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকা দরকার। নজরদারি না থাকার কারণে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে এলপিজি গ্যাসের দোকান। পেট্রোল অবাধে বিক্রি করায় দুষ্কৃতিকারীদের হাতে চলে যাবে বলে জানান অনেকেই। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাহিদ ইভা জানান, বিভিন্ন দোকানে অবৈধভাবে এলপিজি সিলিন্ডার লাইসেন্স বিহীন বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ওইসব দোকানে দ্রুত লাইসেন্স করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।