
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে জলবায়ু সহনশীল স্বল্প মেয়াদি বিনাধান ১৭ কর্তন উপলক্ষ্যে আরডিআরএস বাংলাদেশ বিএফটিডব্লিউ প্রোগ্রামের আওতায় জেলার কৃষক মাঠ দিবস পালিত হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার রনগাও ইউনিয়নের চন্ডী বিষ্ণুপুর গ্রামে এই কৃষক মাঠ দিবস পালিত হয়।
কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম এবং ঝর্ণা পারভীন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরডিআরএস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (কৃষি ও পরিবেশ) রবিউল আলম, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সুপারভাইজার সুমিত্র কুমার এবং রনগাঁও ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্যসহ এলাকার ধান চাষীগন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম।
কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদর্শনী প্লটের মাঠ পরিদর্শনসহ ধান কাটার আয়োজন করা হয় এবং প্রদর্শনী প্লটের কৃষক জাফরুল্লাহ বিনাধান ১৭ এর উৎপাদন কার্যক্রম বর্ণনা করেন। এরপর অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ আমন মৌসুমে বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে সহনশীল স্বল্প মেয়াদি বিনাধান ১৭ এর উপকারীতা বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তারা বলেন, বিনাধান ১৭ একটি উচ্চ ফলনশীল, খরা সহিষ্ণু ও স্বল্প মেয়াদি আমন ধানের জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ দিন বৃষ্টি না হলেও এ জাতটির ফলনের তেমন ক্ষতি হয়না। ভুপৃষ্ঠ থেকে পানির স্তর ৭০ থেকে ৮০ সে.মি. ও মাটির আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগের নীচে নেমে গেলেও ভাল ফলন দিতে সক্ষম।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বিনাধান ১৭ যেহেতু একটি খরা সহিষ্ণু ধানের জাত, তাই দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে এ অঞ্চলে এ ধানের সম্ভাবনা আরও বেশী এবং ধান আগাম হওয়ার ফলে দাম বেশি পাবে এবং ধানের খড় গবাদি পশুর খাবার জোগান দেবে। যে সময় জমিটি পড়ে থাকতো সেখানে আগাম সরিষা/আলু/ভুট্টা চাষাবাদ করে কৃষকরা বেশি লাভবান হবে। অল্প সময়ে ৩টি ফলন পাওয়া যাবে। এর কারণে কৃষকদের এই ধান চাষাবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা মিলে প্রদর্শনী প্লটের কৃষকের জমির কর্তনকৃত ধানের মাড়াইয়ের পরে ফলন পরীক্ষা করেন। বিনাধান ১৭ এর ২০ বর্গ মিটারে ১৪% আর্দ্রতায় ফলন ১৩ কেজি হিসেবে হেক্টরে ৫.৭৮ টন পরিমাপ করা হয়।