
সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও জনপ্রিয় চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে এবং কাজী আলাউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের আহ্বানে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার আশাশুনি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এই সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল নামে, যা এক পর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন— “কাজী নয়, শহিদুল চাই”, “গরিবের ডাক্তারকে মনোনয়ন দাও”, “হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ।” আশাশুনি সদর থেকে চাপড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কজুড়ে বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
বিএনপি নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য আছিফুর রহমান তুহিন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আহসান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলীম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ডা. শহিদুল আলম কোনো ব্যক্তি-নির্ভর রাজনীতির নাম নয়, তিনি মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। তিনি গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অর্থে চিকিৎসা দিয়েছেন, কখনও বিনিময়ে কিছু চাননি। এমন একজন জনপ্রিয় ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হলে দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
বক্তারা আরও বলেন, ভুল মনোনয়ন দিলে সাতক্ষীরা-৩ আসনটি হারাবে বিএনপি। কাজী আলাউদ্দিনের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে রাস্তাই হবে আমাদের শেষ ঠিকানা।
এদিকে, একই সময় কালিগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকাতেও ডা. শহিদুল আলমের সমর্থনে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পৃথক সমাবেশ করেন। সেখানে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।