ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ইতিহাস বিকৃতি থেকে বাঁচাতে পারে সাহিত্যিকদের লেখনী শক্তি: চবি উপাচার্য

ইতিহাস বিকৃতি থেকে বাঁচাতে পারে সাহিত্যিকদের লেখনী শক্তি: চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, লেখক হওয়ার সহজাত গুণ সকলের মধ্যে রয়েছে। সেই গুণকে চর্চার মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতে হয়। সাহিত্য হল জীবনের দর্পণ। সাহিত্য সমাজ, রাষ্ট্রের আয়নাস্বরুপ। ইতিহাস বিকৃত থেকে বাঁচাতে পারে সাহিত্য এবং লেখকদের লেখনী শক্তি।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেখক পরিষদের উদ্যােগে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেখক সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে লেখক সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন চবি উপাচার্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দীনবন্ধু মিত্র, কাজী নজরুল ইসলামরা যেভাবে তাদের সাহিত্যে তৎকালীন সমাজের চিত্র তুলে ধরেছেন সেটা চাইলেই কেউ বিকৃত করতে পারবে না। ক্ষুদিরাম বসু ও সূর্যসেনদের যে ইতিহাস সেটা কেউ বিকৃত করতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রসফায়ারের গল্প, আয়নাঘরের গল্প; এগুলো কালের পরিক্রমায় বিকৃত হয়ে যেতে পারে। কারণ এখনকার লেখকরা প্রেমের কবিতা লিখলেও এসব নিয়ে কবিতা লিখে না। শুধু লিখলেই লেখক হওয়া যায় না। একপেশে হয়ে কিংবা পুরস্কার পাওয়ার আশায় লিখে থাকেন অনেক লেখক। সমাজ ও রাষ্ট্রের লেখকদের প্রতি দায় আছে।

এসময় উপাচার্য অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক প্রফেসর ড. হায়াত হোসেন, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাসেম ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক।

চবি লেখক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন চবি লেখক পরিষদের নির্বাহী পরিচালক রাশেদ রউফ। সঞ্চালনা করেন আয়েশা হক শিমু।

অনুষ্ঠানে লেখক পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক সমাজ, লেখক সমাজ ও সুধীবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইতিহাস বিকৃতি,সাহিত্যিক,চবি উপাচার্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত