
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার আমন ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। উপজেলায় এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক ও কৃষানীরা। তাদের মুখে ফুটেছে হাসি।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমি। ফলনও হয়েছে ভালো। উপজেলার তালজাঙ্গা, রাউতি, ধলা, জাওয়ার, দামিহা, দিগদাইড় ও তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, জমিতে কৃষকরা ধান কাটছেন। কেউ কেউ আবার জমির মধ্যেই ধান মাড়াই করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় কৃষক ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
ব্লক প্রদর্শনীর আওতায় ও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ২০ কাঠা জমিতে আধুনিক ১০৩ জাতের ধান চাষ করেছেন ধলা গ্রামের রবিন মিয়া, রাসেল মিয়া, সুজন মিয়া, নয়ন মিয়া ও সাইফুল ইসলাম। তারা বলেন, কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আজহারুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় ও কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় আধুনিক ১০৩ জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। কাঠা প্রতি ৭ মণ ধরে ধান পেয়েছি।
হাছলা গ্রামের কৃষক ধনু মিয়া বলেন, তিনি ৩৫ কাটা জমিতে ব্রিধান ৪৯, ৭৫ ও বিনা জাতের ধান ১৭ চাষ করে ফলনও ভালো পেয়েছেন। তবে ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় ধান বিক্রি করে লাভ কিছুটা কম হবে।
কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ধান বেশি হয়েছে।
ধলা ও দামিহা ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকদের আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শেষ হয়ে যাবে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশি। দাম ভালো পেলে আগামী মৌসুমে ধানের আবাদ বাড়বে।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিকাশ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ধানের চাষ করেছেন। মাঠের অবস্থা ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কিছুদিনের মাঝেই পুরোপুরি ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।