ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কুড়িগ্রামে বীর প্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া

কুড়িগ্রামে বীর প্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া

কুড়িগ্রামে রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত তারামন বিবি বীর প্রতীক-এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের তার নিজস্ব বাসভবনে (১ ডিসেম্বর) সোমবার বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অমূল্য আকর এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের আরাজী পলাশবাড়ী এলাকায় অবস্থিত তার বাসভবনে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন আরাজী পলাশবাড়ী দারুস সালাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীক-এর ধর্মত ভাই মো. হাছেন আলীর উদ্যোগে আয়োজন করা এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— আরাজী পলাশবাড়ী দারুস সালাম জামে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস ছোবহান, মুয়াজ্জিন মো. ইব্রাহিম খলিল, সাবেক ইউপি সদস্য মো. মকবুল হোসেন, ফারুক আহমেদ, আব্দুস সালামসহ স্থানীয় সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুইজন বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার একজন কুড়িগ্রামের তারামন বিবি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে অবস্থান করে ১১ নং সেক্টরে অধিনায়ক আবু তাহের বীর উত্তম-এর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার তার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে “বীর প্রতীক” খেতাবে ভূষিত করে।

তবে দীর্ঘদিন তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং ১৯৯৫ সালে গবেষক বিমল কান্তি দে ও অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকীর নিরলস প্রচেষ্টায় অবশেষে তারামন বিবিকে খুঁজে পাওয়া যায়। একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানসহ “বীর প্রতীক” পদক তুলে দেন।

তারামন বিবি প্রমাণ করেছেন— দেশের প্রয়োজনে নারী কেবল ঘর সামলায় না, যুদ্ধক্ষেত্রেও অস্ত্র হাতে দেশ রক্ষায় সক্ষম ভূমিকা রাখতে পারে।

মিলাদ ও দোয়া,তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকী,কুড়িগ্রামে বীর প্রতীক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত