
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীর ভিতরবন্দ সুকানদিঘী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিশাল আকারের হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির শকুন।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয়রা শকুনটিকে ছোট একটি গাছের ডালে বসে থাকতে দেখে। এসময় কৌতুহল বশত তারা শকুনটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও শকুনটি ডালেই বসে থাকে। পরে সেটিকে উদ্ধার করে বস্তাবন্দি করে রাখে স্থানীয়রা।
এ অবস্থায় গ্রীন ভিলেজ ফাউন্ডেশনের স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী বন বিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গ্রীন ভীলেজের সহায়তায় শকুনটিকে কুড়িগ্রাম বন বিভাগে নিয়ে আসে কর্মীরা।
স্থানীয়রা জানায়, ছোট গাছের ডালে বিশাল আকৃতির শকুনটি উড়তে না পারায় ক্লান্ত শরীরে বসে থাকে। সে অবস্থায় ধরে বস্তাবন্দী করে রাখে এলাকাবাসী।
পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে শকুনটিকে বন বিভাগে নিয়ে এলে দেখতে ভীড় জমায় উৎসুক জনতা। দর্শনার্থীরা জানান, এই এলাকায় মৃত প্রাণির মাংস খেতে ইতিপূর্বে শকুনের আনাগোনা থাকলেও বর্তমানে তা আর সচারাচর চোখে পড়ে না। তবে শকুনটি হয়তো পথ ভুলে অথবা খাবারের সন্ধানে এই এলাকায় এসেছে। শকুনটিকে দেখতে আসা ছোট্ট শিশুরা জানান, টিভির কার্টুনে শকুন দেখলেও বাস্তবে দেখেতে পেরে ভীষণ খুশি তারা।

বন বিভাগে শকুন দেখতে আসা দর্শনার্থী আলামিন জানায়, এই এলাকায় শকুন দেখা যায় না। তাই খবর পেয়ে শকুনটি দেখতে এসেছি।
এ বিষয়ে বন বিভাগের কর্মীরা জানান, শকুনটিকে রংপুর বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে। সেখানে চিকিৎসার পর অবমুক্ত করা হবে।
উদ্ধার হওয়া গৃধিনী শকুনটি সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রীন ভীলেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম রশিদ আলী জানান, এটি হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির শকুন। হিমালয় নিকটবর্তী হওয়ায় ঠান্ডা জনিত কারন অথবা পথ ভুলে বাংলাদেশে আসতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।