
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের কৃষকরা মারাত্মক দুশ্চিন্তায় রয়েছে। বিভিন্ন পল্লীতে আমন ধানের শীষ বের হচ্ছে। তবে ইঁদুরের উপদ্রবে ধানগাছ কেটে নষ্ট করছে ইঁদুরের দল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে আমন ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে, আর এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েই চলছে ইঁদুরের উৎপাত।
প্রতিনিয়ত ধানগাছ কেটে নষ্ট করে ফেলছে ইঁদুরের দল। ইঁদুর নিধনে ফাঁদ পাতলেও তাতে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। ফলে ইঁদুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯৯০ হেক্টর, আর চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে খেতে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে তাতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করেছে।
সাহেবগঞ্জ গ্রামের চাষি নুর মোহাম্মদ জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন ধানের শীষ বের হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। তাই খেতের মধ্যে পলিথিন বেঁধে দিয়েছেন। বাতাসে পলিথিন দুলে শব্দ হলে ইঁদুর ভয়ে পালানোর সম্ভাবনা থাকে বলে আশা করছেন তিনি।
নুরুল আমিন, মনা মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, ধানখেতে ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়েছেন—তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। স্প্রে ও ওষুধ দিয়েও ইঁদুরের উপদ্রব কমছে না। কেউ ফাঁদ পেতেও চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাও খুব কার্যকর হচ্ছে না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, ইঁদুর নিধনে বিষ, টোপসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কীটনাশক ছাড়াও বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মেনে কাজ করলে ইঁদুর নিধন সম্ভব হবে বলে তাদের ধারণা।