
আজ ৭ই ডিসেম্বর। চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। বাঙালির ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীর অবদান ছিল অপরিসীম।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এ দিন সকাল ৬টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা কমান্ড ইউনিট। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, বীর প্রতীক। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান বীর প্রতীক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ছিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুন্সি আবু সাইফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ এর ৬ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গায় আসে। এদিকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীরা দর্শনার মিত্রবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দিকে অগ্রসর হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজ বোমা হামলায় উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। কিন্তু দর্শনা থেকে আসা মিত্রবাহিনী ও চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী পৌঁছালে ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীরা চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। এতে শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।