
পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের রবি ২০২৫-২০২৬ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১১৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক বিনামূল্যে বোরো উফশী ও বোরো হাইব্রিড ধানের বীজ ও সার পাচ্ছেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসের সামনের চত্বরে এই সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুর রহমান।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল মমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. ধীমান তানভীর স্বাক্ষর, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, সাপ্তাহিক ঈশ্বরদীর সম্পাদক সেলিম সরদার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) শিহাব উদ্দিন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এখলাছুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং উপকারভোগী কৃষকরা।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১১৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বোরো উফশী ও বোরো হাইব্রিড ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০০ জন কৃষক বোরো উফশী ধানের ক্ষেত্রে কৃষকপ্রতি ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাচ্ছেন।
অপরদিকে বোরো হাইব্রিড জাতের ৯৪০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ২ কেজি করে বোরো হাইব্রিড ধানের বীজ পাচ্ছেন।
প্রধান অতিথি ইউএনও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। আপনারা এই বীজ ও সার দিয়ে মাঠে ফসল উৎপাদন করবেন। কেউ যেন বিনামূল্যে পাওয়া সার ও বীজ বিক্রি না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলায় বলেই আমরা খেতে পাই। তা না হলে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হতো। এদেশে এখন আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। রবি শস্য, দেশি শাকসবজি ও ফলমূলের পাশাপাশি বিদেশি নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন কৃষকরা।
এদেশের কৃষকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। একই সঙ্গে আগামীতে যেন প্রকৃত কৃষকদের যাচাই-বাছাই করে প্রণোদনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চলতি রবি মৌসুমে ঈশ্বরদীতে বোরো ধান আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭৬৫ হেক্টর।