
সিরাজগঞ্জে এবার আগাম জাতের আলু চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই নতুন আলু বাজারে উঠছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে এ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকেরা লাভজনক হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি চাষাবাদ করেছেন। যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এছাড়া রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদ হয়েছে।
গত বছরের চেয়ে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ বেশি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের নতুন আলু বাজারে উঠছে। প্রতি কেজি আলু গড়ে ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এর কদরও বাড়ছে। অন্যদিকে পুরাতন আলু গড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০/২৫ টাকায়। এ কারণে গত বছরের আলু নিয়ে মজুদ ব্যবসায়ীরা এখন বিপাকে পড়েছেন। এমনকি অনেক ব্যবসায়ীকে লোকসানও গুনতে হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিশেষ করে জেলার চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়েছে এবং দেশি জাতের আলু এখনও রোপণ করা হচ্ছে। আগামী ২/১ মাসের মধ্যে তা বাজারে উঠবে। গত অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে আগাম জাতের আলুর বীজ রোপণ করা হয় যা চলতি মাসের প্রথম থেকে বাজারে উঠছে। এ আলু প্রতি বিঘায় গড়ে ২০/২১ মণ উৎপাদন হয়। তবে চরাঞ্চলে এ আলুর উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ থেকে এ আলু চাষে স্থানীয় কৃষকদের যথা নিয়মে পরামর্শ দেয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাষাবাদ বেশি করেছে কৃষকরা। আগাম জাতের আলু চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।