
সিরাজগঞ্জে হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষকরা। এ অব্যাহত শীতে অনেক বীজতলার চারা হলদে ও সাদা হয়ে উঠছে। এছাড়া অনেক স্থানে বীজতলা পচন ধরার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে এখন চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কৃষকেরা পৌনে ৮ হাজার হেক্টর জমির বীজতলায় বীজ রোপণ করেছে এবং বীজতলায় বিভিন্ন জাতের ধানের চারাও গজিয়ে উঠছে। প্রায় ৯ দিন ধরে এ জেলায় হাড় কাঁপানো শীত, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া বইছে এবং সেইসাথে কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে ইরি বোরো ধানের অনেক বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। তবে শস্যভাণ্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বীজতলা বেশি ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বিশেষ করে শীত ও কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে বীজতলার বোরো ধানের চারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। ঘন কুয়াশার হাত থেকে রক্ষা পেতে পলিথিন দিয়ে অনেক বীজতলা ঢেকে রাখছে কৃষকেরা এবং পলিথিনসহ নানা কৌশলে বীজতলা রক্ষা পাচ্ছে না এ প্রচণ্ড শীতে। এ পরিস্থিতি থাকলে আবারও বীজতলা তৈরি করতে হবে। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে নতুন করে বীজতলা তৈরি সম্ভব হবে না। এ কারণে কৃষকেরা এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বীজ তলা রক্ষায় সকালের শিশির পরিষ্কার করে প্রতি ১ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম থিওভিট পটাশ ইউরিয়া মিশ্রণ করে কয়েক দিন পর পর কৃষকদের স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। এতে বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের বীজতলা ঢেকে রাখা, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা ও প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বোরো চাষাবাদে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।