ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আরও ৪ মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ

আরও ৪ মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ

পুলিশের কাজে বাধাসহ আরও চার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

‘আসামির নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়' চিন্ময়কে এদিন জেলখানা থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত করা হয় বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলায় এবং আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা একটি মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে, সোমবার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন।

আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যায়। এসময় বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করে বিক্ষোভকারীরা।

সেদিন রাতেই তিনটি মামলা করে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম সিনেমা হল ও কোতোয়ালি মোড়ে তিন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়।

এর মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনায় মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০/৭০০ জনকে, রঙ্গম সিনেমা হলের সামনের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জনকে এবং কোতোয়ালি মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

এসব মামলায় চিন্ময়কে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আশেপাশের এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারধর, জখম, ভাঙচুর, লুটপাট, ক্ষতিসাধন, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা এবং অপরাধ মূলক বলপ্রয়োগের’ অভিযোগ আনা হয়।

আইনজীবী আলিফকে হত্যার ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার বাবা জামাল উদ্দিন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।

সেদিন আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে, জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।

মামলা,চিন্ময়,গ্রেপ্তার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত