রমনা বটমূলে ২০০১ সালের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজ উদ্দিন ও জুয়েলের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার অন্য আসামিদেরও সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একজনের ফাঁসি এবং দুজন এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করায় তাদের বিষয়টি রায় ঘোষণায় আসেনি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান এক জন।
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ঢাকার দায়রা জজ রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি মুফতি হান্নান সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায়ও মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এছাড়া জজ আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আব্দুর রউফ ও ইয়াহিয়া হাইকোর্টে আপিল শুনানি অপেক্ষমাণ থাকা অবস্থায় মারা যান।