অনলাইন সংস্করণ
১৩:২৩, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর দুটি থানার পৃথক তিন মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তাদের গ্রেপ্তার দেখান।
গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক এমপি সায়েদুল হক সুমন, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এবং নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
মামলাগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার রিয়াজ হত্যা মামলায় আনিসুল, আমু, আব্দুর রাজ্জাক, মেনন, ইনু, সুমন ও মনুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া একই থানায় দায়ের করা জুবাইদ ইসলাম হত্যা মামলায় মনুকে এবং ভাটারা থানার নাঈম হাসান নিলয় হত্যা চেষ্টা মামলায় নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
রিয়াজ হত্যা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক রোডে আন্দোলনে অংশ নেন মো. রিয়াজ। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২২ জুলাই, রিয়াজের বড় বোন ফারজানা বেগম যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জুবাইদ ইসলাম হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন জুবাইদ ইসলাম। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
নিলয় হত্যা চেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারার ১০০ ফিট নতুন বাজারের ফরাজী হাসপাতালের সামনে অন্যদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন নাঈম হাসান নিলয় (১৯)। ওই সময় মিছিলে অংশ নেওয়া অন্যদের সঙ্গে নিলয়ের ওপরও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়, যাতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে ১৪ অক্টোবর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিলয়।