ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে রাজসাক্ষী মামুনকে

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে রাজসাক্ষী মামুনকে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে তাঁকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

এদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবেন। মামলায় পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

দীর্ঘ এক বছর ধরে কারাগারে থাকা সাবেক আইজিপি মামুন পরে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন। ফলে তাঁর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে মামলার অপর দুই পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে গত ২৩ অক্টোবর সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ও প্রধানমন্ত্রীদের বিচার উদাহরণ টেনে ট্রাইব্যুনালে বক্তব্য রাখেন। পরে আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর যুক্তির জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী আমির হোসেন। এরপরই রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন রায় ঘোষণা হতে পারে।

চলতি বছরের ৩ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সহিংসতা ও নৃশংসতার বর্ণনা দেন খোকন চন্দ্র বর্মণ। ৮ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা সম্পন্নের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়।

এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে—উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রের আয়তন ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ও বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী করা হয়েছে মোট ৮৪ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত