পাবনায় নেশার টাকা না পেয়ে পিতাকে কুপিয়ে হত্যাকারী মাদকাসক্ত ছেলে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশের তিন এসআই আহত হন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) আদালত আসামি মোস্তফাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুরের ভাদুরডাঙ্গীতে নামাজরত অবস্থায় পিতা নিজাম প্রামানিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পিতা নিজাম প্রামানিক রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন। রাত ৮টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘরে এশার নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় তার ছোট ছেলে মোস্তফা ঘরের দরজা বন্ধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিতার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে সে ঘর থেকে বের হয়ে পাশের রুম গিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ করে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্তকে আটক করতে গেলে তার ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান, এসআই আবু রায়হান আহত হন। এদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের সেজ ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বাবাকে নামাজরত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে পাশের রুমে শুয়ে ছিলাম, এমন সময় রুম আটকে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাতো। তাকে এখনই ক্রসফায়ারে হত্যা করলেও পরিবারের কোনো দাবি-দাওয়া থাকবে না। তাকে এখনই ফাঁসি দেওয়া হোক।’
পাবনা সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
