জুলাই বিপ্লবের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম, অর্জন ও অগ্রযাত্রার দলিল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা' (সেপ্টেম্বর ২০২৪- মার্চ ২০২৫) সংখ্যা। ১৩৬ পৃষ্ঠার এ পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, সাংস্কৃতিক ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তৃত বিবরণ স্থান পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরিতে এ প্রকাশনার কপি ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে, যাতে আগ্রহী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অন্যান্য পাঠক ও গবেষকরা সহজেই এটি পাঠ করতে পারেন। চবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর চবি পরিক্রমা নিয়মিত প্রকাশিত হবে। আগামী সংখ্যায় (এপ্রিল ২০২৫ – জুন ২০২৫) অন্যান্য নিয়মিত আয়োজনের পাশাপাশি চবির পঞ্চম সমাবর্তনের বিস্তারিত প্রতিবেদন ও ছবি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হবে।
জুলাই বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আবির্ভূত হয়েছে নতুন রূপে। নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে গ্রহণ করেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। মাত্র কয়েক মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, একাডেমিক ও শিক্ষাসহায়ক কার্যক্রমে যে গতিশীলতা ও সৃজনশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা' (সেপ্টেম্বর ২০২৪ মার্চ ২০২৫) যেন চবির সৃজনশীল উদ্যোগ ও উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি, যা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্ব নেয়া স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ তাদের সততা, যোগ্যতা, আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছেন। বহুল প্রতীক্ষিত পঞ্চম সমাবর্তন আয়োজন, চাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি, গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে নানামুখী পদক্ষেপ, মেধার ভিত্তিতে আবাসিক হলে আসন বণ্টনসহ আরও অনেক বিষয়ে তারা সুপরিকল্পিত ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিয়েছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কল্যাণকর উদ্যোগ।
নতুন মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে সৃজনশীলতার সুর। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা ও সামাজিক উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে তারা প্রমাণ করেছেন যে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষার নয়, নৈতিকতা ও নেতৃত্বেরও কেন্দ্র। পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়।
'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা' এর বর্তমান সংখ্যাটি কেবল ঘটনার বিবরণ নয়। এটি অতি অল্প সময়ের মধ্যে চবির প্রচেষ্টা, স্বপ্ন ও সাফল্যের দলিল। আগামী দিনগুলোতেও চবি যেন এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারি, এটাই পরিক্রমা সম্পাদনা পরিষদের প্রত্যাশা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হোক জ্ঞান, গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।