রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আগামীকাল রোববার স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের সাথে র্যাগিংয়ের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, র্যাগিং বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব। এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কেউ র্যাগিং করলে শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, গতবারের মতো এবারও আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে অভিযোগ বক্স রাখা হবে, যেখানে কেউ গোপন পরিচয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়া প্রক্টর অফিসের নাম্বারও দেওয়া হবে যাতে শিক্ষার্থীরা সেখানেও যোগাযোগ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং কালচার পুনরায় চালু হতে দিবে না।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, আমরাও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে। এই ধরনের কালচার ছাত্রলীগই সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক সৌহার্দ্যময় হওয়া উচিত। যারা র্যাগিংয়ে জড়িত, রাজনৈতিক হোক বা না হোক, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বেরোবি ছাত্রশিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব মুরাদ বলেন, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একজন শিক্ষার্থীর আবেগ ও ভালোবাসার বিষয়। নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিনিয়রদের অমানবিক, অপমানজনক বা জবরদস্তিমূলক আচরণ কাম্য নয়। নতুনদের ভয় দেখানো, অপ্রয়োজনীয় নিয়ম চাপানো, শারীরিক বা মানসিক কষ্ট দেওয়া বা অপমান করা বন্ধ করতে হবে। আশা করি বেরোবির শিক্ষার্থীরা নবীনদের ভালোবাসা ও শোভনীয় আচরণের মাধ্যমে বরণ করবেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সদ্য সিনিয়র শিক্ষার্থী তাসবীউল হাবিব নিশাদ বলেন, আগামীকাল নবীন বরণের মাধ্যমে আমরা নবীনদের সাথে পথচলা শুরু করবো। নতুন পরিবেশে তারা স্বাভাবিকভাবেই অনেক সমস্যা অনুভব করবে। আমরা তাদের পাশে থাকবো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো র্যাগিং কালচার নেই এবং আমরা এরকম কোনো কাজের সাথে যুক্ত থাকবো না। নবীনরা আমাদের ছোট ভাই-বোন। আমরা সবসময় তাদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখব। তাদের ৭৫ একর বীর শহিদের স্মৃতিবিজড়িত পরিবেশে স্বাগত জানাই।
