ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ইবির সাংবাদিকতা বিভাগে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ইবির সাংবাদিকতা বিভাগে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের ৪৩৯ নম্বর কক্ষে বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের গোলাপ ও রজনিগন্ধা ফুল, ডায়েরি, কলম ও চাবির রিং দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী এবং বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক তন্ময় সাহা জয় ও উজ্জ্বল হোসাইন।

বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শান্ত শিশির এ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আফরিনা আমিন নদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান বলেন, কমিউনিকেশন, মাল্টিমিডিয়া ও জার্নালিজম - ৩টি বিষয়ের সমন্বয়ে এই বিভাগ গঠিত হয়েছে যা অন্য কোন বিভাগে নেই। এই সুযোগ কাজে লাগালে একেকজন মানবসম্পদ হিসেবে পরিণত হবে। ফ্যাসিস্ট আমলে সমাজের দর্পণখ্যাত সংবাদপত্র নামক দর্পণটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তোমাদের মাধ্যমে আমরা এমন একটি দর্পণ তৈরি করতে চাই যার মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হবে।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান বলেন, বিভাগে আপনাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং বিভাগের বড় ভাইবোনেরা। ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া এই বিভাগের সবাই সবার সাথে আত্মিক সম্পর্কে আবদ্ধ। বিপদে আপদে একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেকোনো সমস্যায় তাদের স্মরণ করবে। নানা সীমাবদ্ধতায় আরো চমৎকার গর্বিত করার মতো আয়োজন উপহার দিতে না পারায় বিভাগের একজন অভিভাবক হিসেবে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, সাংবাদিক হতে হলে যে সাংবাদিকতা বিভাগেই পড়তে হবে এমনটা না। তবে এই বিভাগটি যখন একাডেমিক ভাবে স্বীকৃতি পাওয়া শুরু করেছে তখন এই বিষয়টি শৃঙ্খলাবোধ এবং একটি বিশেষ গুণে গুণান্বিত হওয়া শুরু করেছে। জুলাই আন্দোলনে যে ছবিগুলোর জন্য ফ্যাসিস্ট সরকার পতিত হতে বাধ্য হয়েছে, সেই ছবিগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরাই তুলেছে। বিষয় এবং পেশা হিসেবে বর্তমান বিশ্বে, সমাজে এবং রাষ্ট্রে সাংবাদিকতার গুরুত্ব বাড়ছে। যারা এ বিষয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা সঠিকভাবে পড়াশোনা করে ভালো সাংবাদিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে বলে আশা করি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকতা সৎ ও সাহসী পেশা। এটি দেশ জাতি ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। ভার্সেটাইল জিনিয়াস হওয়ার জন্য এই বিভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা সমাজের কথক, তোমরা মানুষের পক্ষ থেকে না বলা কথা গুলো বলবে৷ সমাজের অন্তরালের জিনিস বের করা, উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতি বের করা, পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে লেখা, বিভিন্ন কাজের ত্রুটি লেখা, ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম করা, রাষ্ট্রের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যা নিয়ে সাংবাদিক কাজ করে না।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক তার মুখ, কথা, কাজ দিয়ে সমাজকে উপস্থাপন করে, সমাজের বাস্তবচিত্র তুলে ধরে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা খুবই চমকপ্রদ বিষয়। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশাগত জীবনের ক্ষেত্রেও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনেক বড় ক্ষেত্র রয়েছে। তুমি যেকোনো পেশা চয়েজ করতে পারো কিন্তু সাংবাদিকতার প্রতিটি স্তরেই তোমরা কাজ করতে পারবে৷ ভালো করে পড়াশোনা করলে চাকরির বাজারে সমস্যা হবে না। এজন্য যেনতেন ভাবে সময় পার করলে চলবে না। পড়াশোনাই হবে তোমাদের মূলমন্ত্র। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জায়গা, পড়াশোনা করলে চমৎকার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে৷ মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করবে।

ইবি,সাংবাদিকতা বিভাগ,নবীনবরণ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত