ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেছেন, ছাত্রদল কখনো হল দখল, টেন্ডারবাজি বা চাঁদাবাজি করে না। আমাদের শিক্ষকরা আমাদের নৈতিকতা শেখান। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ধৈর্যের প্রতীক। তার কাছ থেকেই আমাদের ধৈর্য শেখা উচিত।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির করিডরে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে এ স্মরণসভা আয়োজন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। অনুষ্ঠান শেষে শহিদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সাহেদ আহম্মেদ আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির কাণ্ডারি তারেক রহমান আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামিয়েছিলেন। আমরা সেই আন্দোলনে সফল হয়েছি। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে নামাতে পেরেছি। আমরা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারিনি। এখন আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন চাই। জুলাই-আগস্টে শহিদ হওয়া ভাই-বোনদের স্মরণে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান ও জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান।
এছাড়া শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আবু দাউদ, রোকন উদ্দিন, সদস্য রাফিজ আহম্মেদ ও নুর উদ্দিনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদের যে জগদ্দল পাথর আমাদের ওপর ছিল, তা সরিয়েছে আমাদের ছাত্রসমাজ। আন্দোলনের শহিদদের কারণেই আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি। আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কথাও চিন্তা করেননি। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। শেখ মুজিবও একই কাজ করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি এমন রাজনীতি করে না। বরং বিএনপি প্রতিটি ছাত্রদলের কর্মীকে নিজেদের সন্তান মনে করে এবং কৃতিত্ব ভাগাভাগি করে নিতে চায়। এটাই বিএনপির বড় আদর্শ।
